দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে ১২টি উপজেলায় ১২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তারা ভোট গ্রহণের পূর্বে ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫ দিন নির্বাচনের নির্বাচনি অপরাধ আমলে নেয়া এবং সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইন ১ শাখার সহকারী সচিব মো. আল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা, ভোটদানে বাধা দেওয়া বা বাধ্য করা,ব্যালট বক্স ছিনতাই,ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার ধ্বংস করার অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সুনামগঞ্জ-১ আসনে তাহিরপুর উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম,জামালগঞ্জ উপজেলায় সুনামগঞ্জের সহকারী জজ নাজমুল হাসান, ধর্মপাশা উপজেলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিছবাহ উদ্দিন আহমদ, মধ্যনগর উপজেলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ফারহান সাদিক।
সুনামগঞ্জ-২ আসন শাল্লা উপজেলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র দিরাই উপজেলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর।
সুনামগঞ্জ-৩ আসন শান্তিগঞ্জ উপজেলায় সুনামগঞ্জের সহকারী জজ আসিফ আলম চৌধুরী ও জগন্নাথপুর উপজেলায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সুলেখা দে।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাদুজ্জামান ও বিশ্বম্বর উপজেলায় সুনামগঞ্জের সহকারী জজ মো. আরিফুর রহমান।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের ছাতক উপজেলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন, দোয়ারাবাজার উপজেলায় সুনামগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আযমকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ, বর্তমানে নির্বাচনের পূর্বে অনিয়ম নিষ্পত্তির জন্য সারাদেশের ৩০০ আসনে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দিয়ে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি দায়িত্ব পালন করছেন। ৩০০ আসনের প্রতিটি আসনে সেই জেলার সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজদের দায়িত্ব দিয়ে এই অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।