সিরাজগঞ্জে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানব বন্ধন, র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গুমের ঘটনার বিচারের দাবিতে দিবসটি পালন করছেন মানবাধীকার সংস্থা অধিকার, মায়ের ডাক ও সাধারন শিক্ষার্থীরা। দিবসটি উপলক্ষে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজন ও বিভিন্ন নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের আপনজনরা অংশ গ্রহন করেন। তারা তাদের গুম হওয়া স্বজনদের ফিরে চান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন ফর প্রোটেকশন অব অল পারসনস এগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ সম্মেলনে যে আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয়, তাতে (৩০ আগস্ট) কে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাক, অধিকার ও সাধারন শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও বাজার স্টেশন চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে র্যালী শেষে শহীদ মিনার চত্বরে এক আলোচনা সভা করেন। আলোচনা সভায় মানবাধীকার কর্মী এ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রভাষক আব্দুল আওয়াল পাঞ্জা, মানবাধীকার কর্মী রুকসানা ইসলাম জয়া, নাসিমা খাতুন সহ সাধারন শিক্ষার্থীরা।
এসময় বক্তারা বলেন, সব নাগরিককে গুম থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, গুমের শিকার ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের যথাযথ পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গুমের শিকার সব নিখোঁজ ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে খুঁজে বের করে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া এবং গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া গুমের শিকার ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের এ–সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গুমের শিকার ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
ফারজানা খাতুন/ আজকের সিরাজগঞ্জ