তোমরা যারা আজ বারুহাস মেলার করছ গুন—গান
জান না কেউ এই মেলারই অতীতে কেমন ছিল প্রাণ।
দু—মাস আগেই যাইত পড়ে বারুহাস মেলার ধুম
চলত দাওয়াত দুর দুরান্তে আসত সকল কুটুম।
গরুর গাড়ি মহিষের গাড়ি সব আসত লাইন ধরে
তেল বিহীন গাড়ির শব্দে থাকা যাইতনাকো ঘরে।
চারি দিকে শুধু মানুষ আর মানুষ আসত ধরে লাইন
ছ—মাইল দুরেই মেলার শব্দ মাইকে যাইতো শোনা গাইন।
মেলায় গেলেই যাইত দেখা লক্ষ মানুষের ভীর
চারি দিকে ঠেলা—ঠেলি থাকা যাইত নাকো স্থির।
পকেট মারদের রাজত্ব ছিল পকেট নিতো কেটে
টাকা হারিয়ে বহু মানুষ আসত বাড়িত কেঁদে।
জামাইরা সব পাল্লা দিয়ে কিনত বড় মাছ
কেউবা আবার খাসি কিনে করত ইতিহাস।
পিয়াজ রসুন আদা মরিচ মেলায় যাইত বহু পাওয়া
বস্তা বস্তা কিনত মানুষ চলত বছর ধরে খাওয়া।
ঝুড়ি মুড়কি সাজ মিষ্টির বসত বড় মেলা
তবুও সেথায় সবচেয়ে ভীড় খাইতে হত ঠেলা।
যাত্রা—সার্কাস নাগরদোলা চলত তিন দিন ধরে
পিপড়ার মত আসত মানুষ থাকত না কেহ ঘরে।
আকাশের দিকে দৃষ্টি দিলেই রঙ বেরঙের ঘুড়ি
তারার মত যাইত দেখা উড়ত গগন জুড়ি।
পরের দিন ঘোড়ার দৌড় হত মেলার মাঠে
রং বেরঙের ঘোড়া যত আসত সেথায় ছুটে।
আনন্দেরই বন্যা ছিল বারুহাসের এই মেলা
ছড়িয়ে পরত দুর দুরান্তে জানত কয়েক জেলা।
সেই দিনেরই বারুহাস মেলা আজকে শুধুই স্মৃতি
পাল্টে গেছে এর জীবন যাত্রা বদলে গেছে রীতি।