সিরাজগঞ্জে এলজিইডি রাস্তার পাশ থেকে সরকারি ২টি গাছ কর্তন করে গোপনে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের জগতগাঁতী গ্রামের জিয়া মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।স্থানীয় আলিম ও মালেক নামের দুই ভাই গাছ বিক্রির টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে জানা যায়।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলজিইডির রাস্তার পাশে কর্তন করা সরকারি ২টি গাছ বিক্রির মধ্যে ১টি গাছ কেটে ফেলে রেখেছে দুর্বৃত্তরা
স্থানীয় মৃত হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে গাছ গুলো নিজেদের সম্পত্তির দাবী করে নামমাত্র টাকায় গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে। এমনো বলেছে যে যেখানে গাছ লাগানো ছিল সেই জায়গাঁয় আমাদের পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি এটা আমাদের জায়গাঁয় পড়ে তাই আমরা এখানে গাছ লাগিয়েছি। এই গাছ আমাদের কাটার অধিকার আছে।
এসময় অভিযুক্ত আলিম ও মালেক গাছ কর্তন করা গাছের ডালপালা ফেলে রাখার কাজ করতে দেখা গেছে। গাছগুলো দ্রুত সড়ানোর জন্য পল্লী বিদ্যুত সমিতির অফিসকে না জানিয়ে অবৈধভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আবাসিক এলটিই তারের উপর গাছ ফেলে সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ তার ছিড়ে ফেলেছে। খবর পেয়ে সমিতি কার্যালয়ের লাইনম্যান মিজানের উপস্থিতি দেখে হাবিবুর রহমানের বড় ছেলে আলিম মারমুখি ও খারাপ আচরন করে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় লাইনম্যান মিজানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ক্রেতা আব্দুল মমিনের কাছে জানতে চাইলে সে নিজেকে সরকারি গাছগুলের বিক্রেতা নয়, বরং ক্রেতা দাবি করে বলেন, মালিকানা গাছ হিসেবে দুটি গাছ বাবদ দশ হাজার টাকা নিয়েছে। যদি অবৈধ হয় তাহলে গাছ বিক্রেতা মালেক টাকা ফেরত দিলে আমার কোন দাবী থাকবে না।
এদিকে মালেকের ছোট ভাই আব্দুল আলিম বলেন, নিজেদের জমিতে রোপন করা গাছ বিক্রি করেছি। অন্য কারও গাছ বিক্রি করেনি।
এ বিষযে শিয়ালকোল ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, কর্তন করা গাছগুলো এলজিইডির অধীনে। অফিস থেকে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।
এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, এটি কোনভাবেই কাম্য নয়। যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে পরিদর্শন করতে নির্দেশ দিয়েছি।
ঝর্ণা আক্তার/ আজকের সিরাজগঞ্জ